ম্যাকাকুর বানর
আশ্চর্য বানর ম্যাকাকুরের বাসস্থান দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া । থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকার মানুষের প্রধান জিবীকা নারকেল সংগ্রহ। শত শত মাইল সমুদ্র উপকূলীয়বর্তী লবনাক্ত মাটিতে ও লোনা জলজ আবহাওয়ায় প্রকৃতিকভাবেই প্রচুর নারকেল জন্মে। এসব গাছ ৩০/৪০ ফুটেরও বেশী উঁচু হয়ে থাকে। কোন কোন গাছ ৬০/৭০ ফুটও উচু হয়ে থাকে। উঁচু এসব গাছে প্রচুর নারকেল হয়ে থাকে। ১জন মানুষ দিনে ৩/৪শ’ নারকেল সংগ্রহ করতে পারে কিন্তু ১টি ম্যাকাকুর বানর সারাদিনে ৫/৭শ’ নারকেল সংগ্রহ করতে পারে অবলীলায়। আর এই কাজটি ম্যাকাকুর বানর খুব আনন্দের সংগেই করে। নারকেল গাছে উঠার সহজাত দক্ষতা নিয়েই জন্মায় ম্যাকাকুর বানর। শুধু গাছে উঠিয়ে দিলেই হলো। তরতর করে নিমিষেই গাছের মাথায় উঠে যাবে ম্যাকাকুর বানর। তারপর পরিপক্ক নারকেল বেছে সংগ্রহ করে। এই কাজে তাদের যেন কোনো ক্লান্তি নেই। নারকেল সংগ্রহ করা এদের কাছে অনেকটা খেলার মত। শুধু গাছে উঠে নারকেল সংগ্রহই নয়, গাছের নিচে জমাকৃত নারকেলগুলো মালিকের সহয়তায় কাধে করে একটা নারকেলের ডালের লাঠিতে ঝুলিয়ে অনেকটা মানুষের মত দু’পায়ে হেঁটে হেঁটে বহন করে নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসে।
গাড়িতে সব নারকেল তোলা হলে মালিকের সংগে চেপে বসে গাড়িতে। বাড়ীতে এসেও বসে থাকেনা ম্যাকাকুর বানর। গাড়ি তেকে নারকেল নামাতে ঘরে কিংবা গুদামে নির্ধারিত স্থানে সাজিয়ে রাখতেও মালিককে সহয়তা করে। সব নারকেল সাজানো হয়ে গেলে রাতে মালিকের সঙ্গেই খেতে বসে ম্যাকাকুর বানর। পরিবারের একজন সদস্যের মতসুযোগ সুবিধা ভোগ করে ম্যাকাকুররা। বাড়ীর লোকজন যা খায় প্রায় সব খাবারই দিয়ে থাকে ম্যাকাকুরকে। নারকেলের তৈরী পিঠা ও ফল জাতীয় খাবার ম্যাকাকুররা খুবই পছন্দ করে। তাই তাদের এ ধরণের খাবার দেওয়া হয়ে থাকে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
খুব মজা পেলাম গল্পটি পড়ে।এরকম আরো মজার গল্পো শুনতে চাই।ধন্যবাদ।
ReplyDelete@ digitalctginfo.co.cc, thanks for comming here
ReplyDelete