প্রাণী রাজ্য

Animals Life in Bengali Description

Showing posts with label ইঁদুর(Rat). Show all posts
Showing posts with label ইঁদুর(Rat). Show all posts

বাঁশ ইঁদুর

ছোট ছোট পা নাদুস নুদুস শরীর , চলন ভারী তবুয় এর নাম দ্রুত বর্ধনশীল লম্বা চিকন বাঁশের সাথে মিলিয়ে রাখা “বাঁশ ইঁদুর”(Lesser Bamboo Rat)।
লালচে বাদামী দেহের নিচের দিকে সাদা । মাথা সহ দেহের মাপ ১৮ থেকে ২০ শি এম । গলা নাই বলেই চলে, মাথা ও কাঁধের সাথে মেলান। সামনের দাঁত মুখের বাহিরে বেরিয়ে থাকে। পায়ের নখ বড়। লেজ লোমশ মাঝারী আকারের।

বসবাসের জন্য বাঁশ ইঁদুর বাঁশ বন পছন্দ করে বলে এর নাম বাঁশ ইঁদুর। উঁচু পাহাড়ি বাঁশ বনে এদের দেখা যায়। ভোর ও বিকেলে বাঁশ ইঁদুর খাদ্যর সন্ধানে ঘোরাফেরা করে। এরা মাটির নিচে বহুকক্ষ বিশিষ্ট গর্তে বাস করে। বাঁশ ইঁদুরের চলাফেরা ধীরগতির। বাঁশের শেকড় , বাঁশের কুরী, ঘাস বাঁশ ইঁদুরের প্রধান খাদ্য। বর্ষার আর্দ্র দিনে বাঁশ ইঁদুরের প্রজনন হয়। ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর ১ থেকে ৫ টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে বাঁশ ইঁদুর।
বাঁশ ইঁদুর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ি বাঁশ বনে বাস করে। বাংলাদেশে বাস ইঁদুরের কোন পরিসংখ্যান হয়নি তাই এদের সঠিক অবস্থান জানা যায়নি।
আবাস ধ্বংস ও মাংসের জন্য শিকারের ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মতো এরাও বিপন্ন।

লেখা – ঋজু আজম

পিগমি জারবোয়া

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী পিগমি জারবোয়া। ইঁদুর শ্রেণীর এই ছোট্ট প্রাণীটির রয়েছে দারুণ একটি গুণ। এরা লাফাতে পারে প্রায় ৯ ফিট উচ্চতায়!

মরু অঞ্চলের এই চারপেয়ে প্রাণীটির লেজটা বেশ লম্বা। লাফানোর জন্য এরা বালু অঞ্চলকেই বেশি পছন্দ করে। অনেকটা ইঁদুরের মতো দেখতে জারবোয়া পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে দেখা যায় বেশি। বিশ্বের অন্য কোনো স্থানে দেখা যায় খুবই কম।

অবাক হলেও সত্য এরা গড়ে মাত্র এক ইঞ্চি লম্বা হয়। আর  তাদের আকারের চেয়ে লম্বা লেজটি ব্যবহার করে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে।

ইঁদুর

একটি ছোট স্তন্যপায়ী অন্তর্গত অনুক্রম থেকে তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী। ৪-৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। খুব দ্রুত চলাচল করে, মাটিতে গর্ত করে থাকে এবং জমির ফসল, ঘরের আসবাব, কাপগড় প্রভৃতি কেটে নষ্ট করে।
ইঁদুরের দাঁত ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে! তাই ইদুর তার দাঁত এর সাইজ ঠিক রাখার জন্য সারাক্ষণই কিছু না কিছু কাটাকাটি করে!

জায়ান্ট ইদুর

ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ডের একটি কারখানায় দুটি জায়ান্ট ইঁদুর পাওয়া গেছে। পেস্ট কন্ট্রোল সংস্থা জানায়, জায়ান্ট ইঁদুর দুটির দৈর্ঘ্য দুই ফুট।
সংস্থাটি জানায়, চার সপ্তাহের চেষ্টায় এদের ধরা হয়। সাধারণ বাদামি রঙের ইঁদুরের চেয়ে এ দুটি ইঁদুরের আকার দ্বিগুণ। আকার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের প্রচুর পরিমাণে খাবার দেয়া হয়েছে। এতেই এরা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেছে। সান পত্রিকায় ৩০ ইঞ্চি লম্বা ইঁদুর মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের পর ইঁদুরের সন্ধান চালানো হয়। পেস্ট কন্ট্রোল মুখপাত্র ম্যালকম প্যাডলে বলেন, আমার টেকনিশিয়ানরাও আশ্চর্য হয়েছেন তাদের আকার দেখে। কী খেয়ে ইঁদুর দুটি এত অস্বাভাবিক আকারের হলো? ধারণা করা হচ্ছে, এ দুটি ইঁদুর করপু প্রজাতির। অর্থাত্ দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণী। এরা কচি ঘাস খেয়ে বাঁচে। তবে মাসমাল সোসাইটির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ইঁদুর দুটি দক্ষিণ আমেরিকার নয়। দক্ষিণ আমেরিকার রডেন্টের কমলা রঙের দাঁত নেই। তবে এ দুটি জায়ান্ট ইঁদুরের কমলা দাঁত আছে।

ক্যাঙ্গারু র‌্যাট

এ প্রাণীরা হলো এক ধরনের ইঁদুর। ইঁদুর জাতীয় এই প্রাণী থাকে আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম মরু অঞ্চলে। ওরা সারাজীবনে কখনও পানি পায় না। এদেরকে বলে ক্যাঙ্গারু র‌্যাট। ওদের পা ও লেজ ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে লাফিয়েই এরা চলে। এখন প্রশ্ন হলো পানি না খেয়ে এরা কেমন করে বেঁচে থাকে। মরু অঞ্চলের প্রাণী ও উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় গঠন প্রণালী এমনই যে তাদের বেঁচে থাকার জন্য অতি সামান্য পরিমাণ পানির দরকার হয়। আর এই ব্যাপারটি ঘটে ক্যাঙ্গারু র‌্যাটের বেলায়। যে সামান্য পরিমাণ পানিকণা এদের দরকার তা এরা পেয়ে যায় তাদের খাবার মরু উদ্ভিদ ও তার মূল থেকে। উদ্ভিদ-মূলে যে পরিমাণ পানি থাকে তাই-ই ওদের বেঁচে থাকার পক্ষে যথেষ্ট। এমনি করে মরু-উদ্ভিদ ওদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়া ওদের দেহে কোন স্বেদগ্রন্থি নেই। কাজেই ঘামের আকারে কোন পানিকণা শরীরের বাইরেও যায় না। নিঃশ্বাস ফেলবার সময় তাকে ঠান্ডা করে ঘনীভূত পানিকণাগুলো দেহের মধ্যে রেখে দেবার ব্যবস্থাও ওদের রয়েছে। দেহের বাকী অংশের তুলনায় এদের পাগুলো বেশ লম্বা। যখন দুটি ক্যাঙ্গারু র‌্যাট মারামারি করে, তখন মনে হয় যেন লাঠি দিয়ে তারা মারামারি করছে। কোনো ঝোপঝাড়ের কাছে মাটিতে গর্ত খুড়ে এরা বাস করে।