প্রাণী রাজ্য

Animals Life in Bengali Description

Showing posts with label ছুঁচো(Muskrat). Show all posts
Showing posts with label ছুঁচো(Muskrat). Show all posts

বামন চিকা

আমরা প্রায় সবাই ছুঁচো চিনি বা দেখেছি । রাত হলেই কিচ কিচ শব্দ করে আর নাক উঁচিয়ে এদিক ওদিক করে গন্ধ নেয় খাবারের । বাংলাদেশের প্রায় সব যায়গায় ছুঁচো আছে । তবে ছবির এই ছুঁচোটি সব খানে নেই । বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এদের বাস ।বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী । আকারে ছোট , তাই হয়ত এর নাম বামন চিকা ( Savi’s Pygmy Shrew )। শরীরের মাপ ৩৫ থেকে ৫০ মিমি.
এরা প্রজনন মৌসুম ছাড়া একাই নিজ ওদ্ধসিত এলাকায় থাকতে পছন্দ করে । নিজ এলাকায় অন্য কেউ এলে মারামারি বেঁধে যায় । বামন চিকা বিভিন্ন পোকামাকড় , কেঁচো খায় । এরা মাতিতে গর্ত করতে খুব দক্ষ । পানি ওঠেনা এমন ঘাসবনের মাটির নিচে গর্ত করে বাস করে । বামন চিকা মানুষের কোন ক্ষতি করে না ।

কিন্তু বামন চিকার-মত ছোট প্রাণীটিরও আজ বাসস্থানের অভাব । সবচেয়ে ছোট দেহটিও লুকিয়ে রাখারমত জায়গা এ দেশে তার নাই । যার দরুন চিরতরে হারাবার পথে বামন চিকা । আমাদের জায়গা করে দিতে আমাদেরই বন্যপ্রাণীরা বিপন্ন । আমরা ওদের নিয়ে ভাবিনা । বুঝেও যেন বুঝিনা ঐ অবোলা প্রানগুলোর কথা ।

লেখা – ঋজু আজম
ছবি – ইন্টারনেট

সেঙ্গিজ

অনেকটা হাতির মতো আবার ইঁদুর সদৃশ এই প্রাণীটিকে বলা হচ্ছে এলিফ্যান্ট শ্রু বা হস্তিছুঁচো। কেনিয়ার সোমালি সীমান্তের বনি-দোদোরি বনে স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি দেখা যায়। গোটা আফ্রিকায় এইরকম ১৭ প্রজাতির এলিফ্যান্ট শ্রু দেখা যায়।

এই প্রজাতির প্রাণীদের হস্তি ছুঁচো নাম হবার কারণ এদের হাতির শুঁড়ের মতোই লম্বা নাক আছে। আবার তারা অনেকটাই সত্যিকারে ছুঁচোর মতোই। কেনিয়া ওয়ার্ল্ডলাইফ সার্ভিসের বরাতে জানা যায়, নতুন প্রজাতির এই ছুঁচোটির সঙ্গে হাতির অনেক মিলই আছে। এটির আরেক নাম হলো সেঙ্গিজ।

সেঙ্গিজ আফ্রিকার আদিম শ্রেণীভূক্ত প্রাণীগোত্রের মধ্যে পড়ে যা ১ কোটি বছর আগে আফ্রিকায় দেখা যেতো। আর এই প্রাণীটির পূর্বপুরুষের সঙ্গে হাতি, সি-কাউ, হাইরেক্স , আর্ডভার্ক, টেনরেস এবং গোল্ডেন মোলের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। খরগোস আকৃতির সেংগিটির ওজন ৭০০ গ্রাম। হাতির শুঁড়ের মত দেখতে এর একটি লম্বা, নমনীয় নাক আছে। অদ্ভুত বিষয় হল এই এলিফ্যান্ট শ্রু, ইঁদুরের মত লম্বা নাকওয়ালা এক প্রকার প্রাণী থেকে উদ্ভূত হয়নি। বরং হাতি ও এই শ্রুদের পূর্বপুরুষ একই ছিল।