অ্যাঙ্গোরা র্যাবিট
খরগোশ আমাদের সবার চেনা। কী সুন্দর মিষ্টি একটি প্রাণী। এখন যে প্রাণীটির কথা বলব সেটিও এক ধরনের খরগোশ। তবে হঠাৎ দেখলে বোঝা যায় না, এটি একটা খরগোশ। কারণ ওদের সারা গায়ে এতই লম্বা আর ঘন লোম থাকে যে, এদের মাথাটা ছাড়া আর কিছুই ভালোমতো দেখা যায় না। তবে এই লম্বা আর নরম লোমের কারণেই কিন্তু এরা বেশ আদুরে আর জনপ্রিয়। তাই ওরা যত না বনে-বাঁদাড়ে থাকে, তারচেয়ে ঘরেই এদের বেশি পোষা হয়। শুধু তাই নয়, ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাঙ্গোরা র্যাবিট ফ্রান্সের রাজপরিবারেও বেশ জনপ্রিয় ছিল। রাজপরিবারের সবাই এ ধরনের খরগোশ পুষতে শুরু করে। শখ করে ঘরে পোষা ছাড়াও অ্যাঙ্গোরা র্যাবিট কিন্তু অন্য আরও কারণেও পোষা হয়। এদের গায়ের লম্বা লোম দিয়ে আবার তৈরি হয় পোশাকসহ আরও নানা জিনিস। এত বড় লোম, সেটা আবার কোনো কাজে আসবে না, তাই কি হয়! এক একটা খরগোশের শরীর থেকে বছরে অন্তত ৩-৪ বার করে লোম ছাঁটাই করা হয়। আর এই লোমের লোভেও অনেকে ওদের পোষে। দেখতে যেমন নাদুসনুদুস আর আদুরে ঠিক তেমনি অ্যাঙ্গোরা র্যাবিটের কাজকর্মও বেশ মজাদার। অন্য খরগোশের মতো এরা খেলতে আর লাফালাফি করতে খুবই ভালোবাসে। আর খেলনা পেলে, বিশেষ করে বল অথবা নরম কাঠের টুকরা পেলে তো কথাই নেই। সেটা নিয়ে সারাদিনই মেতে থাকে। অ্যাঙ্গোরা র্যাবিট খুব প্রভুভক্তও হয়।
উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
vai apnar fb id ta den....mail kore...RIYADHHOSSEN@Gmail.com
ReplyDelete