কাছিম
বিবর্তনের মধ্য দিয়ে জীবজগতের প্রতিটি সদস্য তার বর্তমান রূপ পায়। কচ্ছপও এর ব্যতিক্রম নয়। কচ্ছপকে কোনো ধরনের প্রাণী বলা হবে তা নিয়ে অবশ্য বিজ্ঞানীদের মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এরা পক্ষী প্রজাতির নিকটাত্দীয়। আবার কেউ বলেন, কচ্ছপের মেরুদণ্ড আছে। ফলে এদের সরীসৃপ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শ্রেণীবিভাজনের এ সমস্যার সমাধান করতে বিজ্ঞানীরা কচ্ছপের রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হন, কচ্ছপ হলো কৃমি ও টিকটিকির নিকটাত্দীয়। মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন প্রজাতি এই কচ্ছপরা। প্রায় ২০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে এদের আগমন ঘটে। তাই দীর্ঘ বিবর্তনের পথ পেরিয়ে বর্তমান অবস্থায় এসে পেঁৗছেছে কচ্ছপরা। এ বিবর্তনের পথে অনেক প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্তও হয়েছে। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ব্যাপারে বিস্তর গবেষণা করেছেন। তাদের এ গবেষণায় আরও জানা গেছে, কচ্ছপকে ঠাণ্ডা রক্তের বলা হলেও বিভিন্ন স্থানে কিন্তু এদের দেহের তাপমাত্রা আলাদা হয়ে যায়। আরও মজার বিষয় হলো, কচ্ছপরা পানিতে শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া চালাতে পারে না বলে যতক্ষণ পানিতে থাকে ততক্ষণ তারা কিন্তু নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখে। তারা নিঃশ্বাস বন্ধ করে বেঁচে থাকতে পারে, খাবার না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে না খেয়ে। কচ্ছপদের ছাপাপোনা হয় ডিম ফুটে। ডিম পেড়ে মাটি বা বালির মধ্যে গর্ত করে ডিম রাখে কচ্ছপরা। সেই ডিম ফুটে শিশু কচ্ছপ বের হতে প্রায় ২ মাস সময় লাগে। সদ্যজাত কচ্ছপরা কিন্তু পানির উপর খুব দ্রুত চলতে পারে। যদিও কচ্ছপের হাঁটার গতি যে খুবই কম তা এতদিনে জান তোমরা, খরগোশ কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্প থেকে। বিপদের সংকেত পেলে কচ্ছপ খুব দ্রুত সাতাঁর কাটতে পারে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment