উট
উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়। কারণ উট সহজে মরুভূমির বালুময় পথে চলতে পারে। তাই উটের পিঠে চড়ে মানুষ মরুময় পথে যাতায়াত করে। উট সাধারণত যে ধরনের ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে যা অন্য প্রাণীর পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। এমনকি কাঁটা গাছ খেয়েও উট সহজেই হজম করতে পারে। একনাগাড়ে দু'সপ্তাহ ধরে পানি না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে এবং পথ চলতে পারে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, উটের দেহের ওজন ৩২ কিলোগ্রাম কমে গেলেও এতে কোনো ক্ষতি হয় না। উটের দুধ খুব উপকারী। এতে ভিটামিন সি থাকে। অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়ে উট বেশি দুধ দিতে পারে। গরমে ও জলের অভাবে অন্য প্রাণীর দুধ কমে গেলেও উট একই পরিমাণ দুধ দেয়। এখন পৃথিবীর সর্বত্র উট পাওয়া গেলেও সর্বপ্রথম উট দেখা গিয়েছিল উত্তর আমেরিকায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগে উটের আকৃতি ছিল খরগোশের মতো। চার কোটি বছরের বিবর্তনে যা এখন দীর্ঘদেহী উটে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কুঁজওয়ালা উটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলো সুদানে। এছাড়াও সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, ও জিবুতিতে প্রচুর উট পাওয়া গেলেও প্রাচীন জন্মস্থান উত্তর আমেরিকায় এখন আর উট দেখতে পাওয়া যায় না।মো. আসাদুজ্জামান
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment