জেব্রা
জেব্রা স্তন্যপায়ী, উষ্ণ রক্তের এবং বাতাস থেকে ফুসফুস এর মাধ্যমে শ্বাস নেয়।মানুষের আঙুল আর ঠোটের ছাপ কারোটা যেমন কারো সাথে মেলেনা তেমনি জেব্রাদের গেয়ে যে কালো ডোরা কাটা দাগ থাকে তা দেখতে সবগুলির এক রকম মনে হলেও আসলে কিন্তু ওদের একজনের গায়ের দাগের সাথে অন্য জনের গায়ের দাগ মিলবেনা। আর এই দাগের পার্থক্যেই ওরা একজন আরেকজনকে আলাদা করে চিনতে পারে।
এখন পর্যন্ত তিন ধরনের জেব্রা দেখতে পাওয়া গেছে। এগুলো হলো-
১. সমতল ভূমির জেব্রা (Equus Burchelli):সমতল ভূমির জেব্রা দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকা এবং ইথিওপিয়ার দক্ষিণে বাস করে। সমতল ভূমির জেব্রাগুলোর ডোরাকাটা সাদা কালো দাগগুলো এর পেটের নিচ পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। সমতল ভূমির এবং পার্বত্য ভূমির জেব্রাগুলো সাধারণত উচ্চতায় ৩ থেকে ৪ ফুট হয়ে থাকে এবং লম্বায় এরা ৭ ফুট। সমতল ভূমির এবং পার্বত্য ভূমির জব্রাগুলোর ওজন সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২. গ্রেভী জেব্রা (Equus Irevy):গ্রেভী জেব্রা সোমালিয়াতে দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য জেব্রার চাইতে এরা আকারে বড়, গায়ে পাতলা ডোরাকাটা এবং কানগুলো বড় থাকে। গ্রেভী জেব্রাগুলো উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৫ ফুট এবং লম্বায় ৭ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ প্রজাতির জেব্রাগুলোর ওজন সর্বোচ্চ ৯৫০ পাউন্ড হয়ে থাকে।
৩. পার্বত্য ভূমির জেব্রা (Equus Zebra):পার্বত্য জেব্রা দেখতে পাওয়া যায় কমিবিয়া এবং অ্যাঙ্গোলার পর্বতসমূহে। এদের গায়ে সরু ডোরা কাটা দাগ থাকে।
জেব্রা দিনের ১২-১৮ ঘন্টাই কিন্তু খাওয়ার পিছনে ব্যয় করে। সব ধরনের সবুজ ঘাস, কচি গাছ গাছড়া এরা খেয়ে থাকে। এরা ছোট ছোট পা দিয়ে ছুটে বেড়ায় আর তুলনামূলক একটু লম্বা গলা থাকাতে এদের ঘাস খাওয়াতেও কিন্তু সুবিধা, আর এরা কিন্তু এদের দেহে কোনো খাদ্য জমা রাখে না। জেব্রা ৩ দিন পর্যন্ত পানি না খেয়েও থাকতে পারে। নিজ আবাসভূমি থেকে জেব্রার বিচরণ ১০ বর্গমাইল পর্যন্ত হয়ে থাকে। খাদ্যের জন্য এদের বিচরণস্থল ২০০ বর্গমাইল পর্যন্ত হয়ে থাকে। জেব্রা কিন্তু ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌঁড়াতে পারে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment