সাপ
পৃথিবীতে প্রায় ২,৪০০ প্রজাতির সাপ আছে। ৪৫০-এর বেশি প্রজাতির সাপ বিষ বহন করে এবং এর মধ্যে ২৫০ প্রজাতির সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সাপের বিষ মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক, কারণ রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে এটি সারা দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাপ দ্বারা সংঘটিত বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায়। বিষাক্ত সাপ দ্বারা বছরে দুর্ঘটনা ঘটে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়। এদের আকার খুবছোট, ১০ সে.মি. ( থ্রেড সাপ ) থেকে শুরু করে সর্বচ্চো ২৫...ফুট বা ৭.৬ মিটার ( অজগর ও অ্যানাকোন্ডা ) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানওবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।সব সাপেরই খোলস ছাড়ার একটি অভ্যাস রয়েছে। এর কারণ, সারাজীবন ধরে সাপের দৈহিক বৃদ্ধি সংঘটিত হয়ে থাকে। এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও এ প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে। তবে, বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি ধীর গতিতে চলতে থাকে। দেহ যত বড় বা দীর্ঘ হতে থাকে, ওদের ত্বকের আকারও তত ছোট হতে থাকে। আর এর জন্যই ওরা খোলস ছাড়ে। এক থেকে তিন মাস অন্তর সাপ খোলস পরিত্যাগ করে। অমসৃণ কোনো জায়গায় সাপ নিজের শরীর ঘসে ঘসে তার খোলস পরিত্যাগ করে। এর ফলে পুরোনো খোলসের ভেতরের পাশটি বাইরের দিকে চলে আসে।
সাপের বিষ সাপের জন্য বিষাক্ত না হলেও মানুষের জন্য বিষাক্ত, কারনটি বলার পূর্বে জানতে হবে সাপের বিষের সম্বন্ধে।
সাপের বিষ হচ্ছে সাপের লালাগ্রন্থির নিঃসরন(salivary secretion), সাধারন ভাষায় বলতে গেলে সাপের saliva, যা কিনা সাপের শিকার, প্রতিরক্ষা এবং খাদ্য পরিপাকের কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে।
সাপের বিষ অনেক গুলো Enzyme এর দ্বারা তৈরি - যার ভেতর রয়েছে - phospholipidase, protease, hyaluronidase, ATPase, cholinesterase, lecithinase, ribonuclease, deoxyribonuclease প্রমুখ।
!!~~খুব মজার একটি ব্যাপার হচ্ছে, উপরোক্ত enzyme গুলোর অনেকগুলোই আমাদের পরিপাক তন্ত্রে (digestive system) পাওয়া যায়, যা কিনা আমাদের খাদ্য পরিপাকের কাজে সহায়তা করে থাকে!!
এ তথ্য গুলো পড়ে যা কারো মনে এখন এ প্রশ্ন আরো গভীর ভাবে দেখা দেবে, তা হচ্ছে, তবে সাপের বিষ আমাদের জন্য বিষাক্ত কেন?
সাপের বিষ আমাদের জন্য বিষাক্ত হয় তখনি যখন তা আমাদের রক্তে(blood circulation) চলে আসে এবং রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে-অতি দ্রুত, তাই তো তা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়, কেননা enzyme গুলো আমাদের শরীরের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অংশের ক্ষতি সাধন করে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment