Animals Life in Bengali Description

বেড়াল

No comments
বিড়াল একটি শ্বাপদ বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণী।
খুবই আরামপ্রিয় এবং গৃহ পালিত প্রাণী। বাঘের মাসী বলা হয়। দুধ, মাছ, ছোট পাখি, হাঁস মুরগির বাচ্চা, ইঁদুর ইত্যাদি এর খাদ্য। ইঁদুর মারার জন্য পোষে অনেকে। এদের পায়ের নিচে নরম মাংশপিন্ড থাকায় নি:শব্দে চলাচল করতে পারে। ১০-১২ " উচ্চতা এবং ১৪-১৮" লম্বা হয়। এর দ্বিপদ নাম Felis catus।
বিড়াল সম্পর্কে পৃথিবীর প্রায় সবখানেই অনেক গুজব চালু আছে। অনেকেরই বিশ্বাস বিড়ালের নাকি নয়টা প্রাণ। আবার কারো ধারণা, কালো বিড়াল অশুভ। মধ্যযুগে ইউরোপে তো বিড়ালকে ঘৃনার চোখে দেখা হতো। রাতের বেলা অনেক সময় বিড়াল ইঁদুর শিকারে বের হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে বিড়াল চলাফেরা করতে দেখে অনেকের ধারণা, বিড়াল রাতের অন্ধকারে দেখতে পায়। এই তথ্যটি আংশিক সত্য।
আসলে বিড়াল পুরোপুরি অন্ধকার রাতে কিছুই দেখতে পায় না। কিন্তু খুব সামান্য পরিমাণ আলো থাকলেই বিড়ালের জন্য যথেষ্ট। এরকম আলোয় মানুষ কিছুই দেখতে পাবে না। কিন্তু বিড়াল এসব ক্ষেত্রে অনেক ভালো দেখতে পায়। কারণ বিড়ালের চোখের রেটিনার পেছনে টাপেটাম নামে একটি অংশ আছে। বাইরে থেকে আসা সামান্য পরিমাণ আলো টাপেটামে প্রতিফলিত হয়ে চোখের কোন কোষে আঘাত করে। টাপেটাম থেকে কোন কোষে প্রতিফলিত হবার সময় আলো কিছুটা বর্ধিত হয়। ফলে বিড়াল স্বল্প আলোতেও স্পষ্টভাবে দেখতে পায়। অন্ধকারে বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে এই টাপেটামের কারণে।
টাপেটাম বিড়ালকে স্বল্প আলোয় ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করলেও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য বিড়ালকে অন্ধকারে চলতে সাহায্য করে। বিড়ালের ঘ্রাণশক্তি ও শ্রবণশক্তি বেশ প্রখর। আর এগুলোই বিড়ালকে অন্ধকারে শিকার খুঁজে নিতে বা নিরাপদে চলাচল করতে অনেকটা সাহায্য করে। তাই পুরোপুরি অন্ধকার রাতেও বিড়াল এসবের উপর নির্ভর করে পথ চলতে পারে।

No comments :

Post a Comment