গেছো ব্যাঙ
নানা প্রজাতির ব্যাঙের মধ্যে গেছো ব্যাঙ উড়তে পারে মানে বেশ লাফিয়ে অনেক দূর যেতে পারে।এই গেছো ব্যাঙেরা থাকে ঝোপে-ঝাড়ে, বনে-বাদাড়ে ও গাছে। অন্যান্য ব্যাঙের চাইতে দেখতে এরা অবশ্য একটু কমই বেঢপ আকৃতির হয়। এদের হাত-পা একটু বেশীই লম্বা লম্বা ধরনের আর সেই লম্বা লম্বা হাত-পায়ের সাহায্যে সে ধাক্কা দিয়ে উঠে পড়ে শূণ্যে।বাতাসে ভেসে সে এভাবে পাড়ি দিতে পারে অনেকটা পথ। তারপর আবার যেখানে খুশি সেখানে নেমে আসতে পারে নির্বিঘ্নে। আর এর জন্য তার পায়ের নিচে থাকে বিশেষ গ্রন্থি। যার মাধ্যমে সে অনেকটা টিকটিকির মতো যে কোন জায়গা বেয়ে নেমে উঠে যেতে পারে। পারে আকাশ থেকে নেমে আসার সময় গাছের গায়ে লেপ্টে যেতেও।
সাধারণ গেছো ব্যাঙ
এর ডিম পাড়ার সময় পানির ধারে এমন গাছ বেছে নেয় যার কিছুকিছু পানির ওপর বরাবর থাকে। এরা এদের ডিমগুলোকে একরকম আঠালো নিঃসরণের সাহায্যে ঠিক পানির উপরে পাতার গায়ে আটকে দেয়। ডিম ফুটে ব্যাঙাচি বের হলে ব্যাঙাচিগুলো সরাসরি পানিতে পড়ে যায় ফলে ব্যাঙাচিগুলোর বেঁচে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না।কিউবিয়ান গেছো ব্যাঙ
গেছো ব্যাঙের থাবা থেকে সম্প্রতি ভারতের গবেষকরা এক ধরনের অতি শক্তিশালী এবং বারবার ব্যবহারযোগ্য আঠা আবিষ্কার করেছেন।গেছো ব্যাংর থাবার মশৃণ হস্তু রেখা" রয়েছে বলে আঠার শক্তির দুবর্লতা এড়ানো সম্ভব হয়। জানা গেছে গেছো ব্যাংএর থাবার ওপর গবেষণা করে আবিষ্কৃত এই নতুন ধরনের আঠার শক্তি আগের সাধারণ আঠার শক্তির চাইতে ৩০ গুণ বেশি। উপরন্তু এ ধরনের আঠা বারবার ব্যবহার করা ও যায়।এর ইংরেজী নাম Tyler's Tree Frog বা Tree Frog ও বৈজ্ঞানিক নাম Litoria tyleri।
ইউরোপিয়ান গেছো ব্যাঙ
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment